মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় কাথুলী গ্রামে মোছাঃ সুফিয়া খাতুন এর বাড়ি। প্রায় ২৫ বছর আগে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে সন্তান সংখ্যা ২ জন। তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে আর এগোতে পারেননি। বিয়ের পর স্বামী অসুস্থ হওয়ায় তিনি অর্থে কষ্টে দিন পার করেন। চাষ করার মতো তাদের কোন আবাদি জমি ও নেই। তিনি অসচ্ছল হওয়ায় গাংনী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির আওতায় তাকে দুইটি ছাগল প্রদান করা হয়। তিনি জানান যে ছাগল প্রাপ্তির ৭ মাস পর ২টি বাচ্চা হয়েছে এবং পরবর্তীতে আরো কয়েকটি বাচ্চা হয়েছে। এগুলোর বর্তমান বাজার দর প্রায় ৫০হাজার টাকা। ইতিমধ্যে তিনি কয়েকটি ছাগল বিক্রি করে দেন এবং প্রায় ২০হাজার টাকা আয় করেন। উপরোক্ত চিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে, দরিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে কাথুলী গ্রামের মোছাঃ সুফিয়া খাতুন লাভবান হয়েছেন এবং এতে তার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, যা তার দারিদ্র বিমোচনে যথেষ্ট সহায়ক হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পটি তার আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করতেও সহায়ক হয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পেলে প্রকল্পটি আরো সম্প্রসারিত করতে পারতেন। এতে তিনি আরও লাভবান হতে পারতেন।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাংনী পৌরসভায় মোছাঃ রিনা খাতুনের বাড়ি। বিয়ের পর স্বামী অসচ্ছল হওয়ায় তিনি অর্থকষ্টে দিন যাপন করেন। চাষ করার মতো তাদের কোন আবাদি জমি ও নেই। তিনি অসচ্ছল হওয়ায় গাংনী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির আওতায় তাকে ২০১৭ সালে একটি সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। সেলাই মেশিন প্রাপ্তির পর তিনি বাড়িতে বসে সেলাই কাজ করে ছোট বাচ্চা ও মেয়েদের পোশাক প্রস্তুত করেন এবং নিজ পাড়া ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিক্রি করেন।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাংনী পৌরসভার থানাপাড়া গ্রামে মোছাঃ শামসুন নাহারের বাড়ি। বিয়ের পর স্বামী অসচ্ছল হওয়ায় তিনি অর্থকষ্টে দিন যাপন করেন। চাষ করার মতো তাদের কোন আবাদি জমি ও নেই। তিনি অসচ্ছল হওয়ায় গাংনী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির আওতায় তাকে ২০১৭ সালে ১টি সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। তিনি জানেন যে, সেলাই মেশিন প্রাপ্তির পর তিনি বাড়িতে বসে সেলাই এর কাজ করে ছোট বাচ্চা ও মেয়েদের পোশাক প্রস্তুত করেন এবং নিজ পাড়া ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিক্রি করেন।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের আড়পারা গ্রামে মোছাঃ নাজমা খাতুনের বাড়ি। বিয়ের পর স্বামী অসচ্ছল হওয়ায় তিনি অর্থকষ্টে দিন যাপন করেন। চাষ করার মতো তাদের কোন আবাদি জমি ও নেই। তিনি অসচ্ছল হওয়ায় গাংনী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির আওতায় তাকে ২০১৮ সালে ১টি সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। তিনি জানেন যে, সেলাই মেশিন প্রাপ্তির পর তিনি বাড়িতে বসে সেলাই এর কাজ করে ছোট বাচ্চা ও মেয়েদের পোশাক প্রস্তুত করেন এবং নিজ পাড়া ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিক্রি করেন। এছাড়া কেউ কেউ বাজার থেকে কাপড় কিনে এনে তাকে দিলে তিনি তার সেলাই করে শুধুমাত্র মজুরি নেন। একাজ করে তিনি বর্তমানে ২৫০০/- থেকে ৩০০০/- টাকা আয় করেন।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার শিমুলতলা গ্রামে মোছাঃ চামেলি খাতুনের বাড়ি। বর্তমানে তার ০১টি ছেলে আছে। বর্তমানে তার শামি না থাকাই তিনি অর্থকষ্টে দিন পার করছেন। চাষ করার মতো তাদের কোন আবাদি জমি ও নেই। তিনি অসচ্ছল হওয়ায় গাংনী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির আওতায় তাকে ২০১৮ সালে ১টি সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। তিনি জানেন যে, সেলাই মেশিন প্রাপ্তির পর তিনি বাড়িতে বসে সেলাই এর কাজ করে ছোট বাচ্চা ও মেয়েদের পোশাক প্রস্তুত করেন এবং নিজ পাড়া ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিক্রি করেন। এছাড়া কেউ কেউ বাজার থেকে কাপড় কিনে এনে তাকে দিলে তিনি তার সেলাই করে শুধুমাত্র মজুরি নেন।
উপরোক্ত চিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে মোছাঃ চামেলি খাতুন লাভবান হয়েছেন এবং এতে তার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে যা তার দারিদ্র্য বিমোচনে যথেষ্ট সহায়ক হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পটি তার আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করতে সহায়ক হয়েছে।