গাংনী উপজেলার নাগরিকদের মানবিক সামাজিক শিক্ষা চিকিৎসা দারিদ্র বিমোচন ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার বাসনা নিয়ে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের উপ – সচিব ডঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম প্রথম উদ্যোগ নেন। তিনি সমমনা কয়েকজন পেশাজীবী সাথে আলোচনা করেন এবং একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেন।
পবিত্র কোরআনের নির্দেশনার আলোকে যাকাতের অর্থ খরচ করার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
” মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কর্তৃক নির্ধারিত একটি ফরজ ইবাদত হল যাকাত । গরিব মিসকিন এবং যাকাত উসুলকারী কর্মচারীদেরকে, দাসত্বের শৃংখলে আবদ্ধ লোকদের মুক্তির ব্যবস্থা করা ঋণগ্রস্তদের ঋণ পরিশোধ করা মহান আল্লাহর নির্ধারিত সার্বজনীন কাজে এবং নিঃস্ব পথিকদের সাহায্যার্থে এটা খরচ করা যাবে “
বৃত্তি নীতিমালার আলোকে চিকিৎসা প্রকৌশল কৃষি সম্মান ইসলামী শিক্ষা এবং এইচএসসি পর্যায়ে অধ্যায়নরত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কে মাসিক ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান এককালীন অনুদান প্রদান ইত্যাদি।
উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক নীতিমালার আলোকে বাস্তবায়ন পর্যায়ে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এ পর্যায়ে যাকাত তহবিলে জমাকৃত অর্থের খরচ ও উদ্বৃত্তের হিসাব পরিপূর্ণভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। ফাউন্ডেশন তহবিলের অর্থ একীভূত যাতে না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ সহযোগিতা নিয়ে উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর পরিধি আরও সম্প্রসারিত হবে ইনশাল্লাহ। এভাবে যাকাতের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের মাধ্যমে গাংনীর দারিদ্র বিমোচন শিক্ষার প্রসার চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফাউন্ডেশন একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।